,

বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে এখনো গভীর সংকটে দেশ -শায়েস্তাগঞ্জে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর ॥ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজ যে যমুনা সেতু দেখছেন সেটা নিয়ে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। জামান এসে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি ও করে গিয়েছিল। পদ্মা সেতু নিয়ে ও তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট ভোরে তাঁকে সহ পুরো পরিবারকে নৃশংস হত্যার মধ্যদিয়ে দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দেশ এখনো গভীর সংকটে। তিনি বেঁচে থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেত। গতকাল শনিবার বিকালে  শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার রেলওয়ে পার্কিং এলাকায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী ও জাতীয়  শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিল বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূণ্য অর্থনীতি দেশকে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধের সময় দীর্ঘ ৯ মাস দেশে কোনো ফসল উৎপাদন হয়নি। বিজয়ের পরে দেশ ছিল গভীর সংকটে। খাদ্য ছিল না, সড়ক ও কালভার্ট ছিল না, পরিবহন ছিল না। এই গভীর সংকটের মধ্যেই অল্প দিনে তিনি দেশকে অর্থনীতিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে নানা পরিকল্পনা করেছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। যুদ্ধবিধস্ত রাস্তাঘাট মেরামত শুরু করেন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেন, স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বে সংকট কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এর আগে জাতির পিতা এবং তার সঙ্গে শাহাদত বরণকারী পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা না বাড়তে পারলে গ্রাম উন্নয়নের লক্ষে অর্জিত হবে না। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রামকে উন্নয়নের কথা বলেছেন। সে জন্যে উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে জনসেবার মান আরো উন্নত ও নিশ্চিত না হলে দেশ এগিয়ে যাবে না। সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদকে আরো কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ইউ/পি উপজেলা চেয়ারম্যানদের দায়িত্বশীলতা ও কর্তব্যরোধ বাড়াতে হবে। নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভবন সহ বিভিন্ন অফিস নির্মাণ করা হবে এবং প্রাচীনতম স্কুল-কলেজকে সরকারী করণ করা হবে। আমি বেঁচে থাকলে শায়েস্তাগঞ্জে আবারো আসবো।  শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও নবগঠিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবালের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্রাহ্মণডুরা ইউ/পি চেয়ার‌্যমান হুসাইন মোঃ আদিল জজ মিয়ার পরিচালনায় প্রধান বক্তা ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য এড. আলহাজ্ব মোঃ আবু জাহির এমপি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মাসুক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ গাজিউর রহমান ইমরান, শায়েস্তাগঞ্জ ইউ/পি চেয়ারম্যান বুলবুল খাঁন,  নূরপুর ইউ/পি চেয়ারম্যান মোঃ মখলিছ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ্ সরদার, এড. হুমায়ন কবির সৈকত, বীর মুক্তিযুদ্ধা প্রাণেশ দত্ত, শফিক মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজ্বী শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান মাসুক, কামরুজ্জামান আল রিয়াদ, আবুল কাশেম শিবলু প্রমূখ।


     এই বিভাগের আরো খবর